রোববার (০৪ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা উত্তর বিভাগ এসপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ ও ট্রাফিক) আব্দুল্লাহিল কাফি।
এসপি আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘যার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে তার বয়স ১৯। স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে দুইজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আসামিরা তাকে চলে যেতে বলে। এরপর তারা ওই নারীর স্বামীকে মারধর করে ও হুমকি দেয়। পরে ওই নারী ও তার স্বামী আশুলিয়া থানায় আসেন। এরপর আমরা ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাই।’
এসপি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পারি, আসামিরা আবাসিক হলে ছিল। তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে এমন তিনজনকে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় তাদের ধরতে পারি।’
তিনি জানান, অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার হোতা পলাতক মোস্তাফিজকে সাভার থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় ছয়জন আসামি রয়েছেন। বাকি দুইজনকে দ্রুত সময়ে গ্রেফতার করা হবে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতার চারজনকে আদালতে প্রেরণ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
এর আগে, শনিবার জাবির আবাসিক হলে স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও বহিরাগত এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের (৪৫তম ব্যাচ) ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত যুবক মামুন।
মোস্তাফিজুর মীর মশাররফ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।