মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ হলে ৮০৭ নাম্বার রুমের তালা ভাঙা ও তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন—ইংরেজি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনুরাগ দাস , ইউআরপি ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফি এবং আইআইটি ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরমান। অভিযুক্ত সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারী বলে পরিচিত।
জানা যায়, রাত দুইটার দিকে অনুরাগের নেতৃত্বে রাফি ও আরমানের সাথে কয়েকজন মিলে তাজউদ্দিন আহমেদ হলের ৮০৮ নম্বর রুমে তালা ভাঙতে যায়। ওই রুমে এলোটেড শিক্ষার্থীরা তালা ভাঙতে বাঁধা দিলে হলের প্রাধ্যক্ষের নির্দেশে তালা ভাঙতে এসেছেন বলে জানান অভিযুক্তরা। এসময় তাদের হাতে রড ছিল বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ বলেন, ‘রাফি সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন নিয়ে আমাদের রুমে তালা ভাঙতে আসে। তারপর তাদের সাথে কথা বলার পর রাফি বলে বিষয়টা দেখছি। তারপর রাতের দিকে আবার তালা ভাঙতে আসে। এসময় রাফি কাপ ছুড়ে মারায় আমার পা কেটে যায়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ও তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত পর দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ৮০৮ নম্বর রুমের চারজন শিক্ষার্থী।