জাপানের উত্তরাঞ্চলে ৭.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সোমবার ইশিকাওয়া, নিগাতা এবং তোয়ামা প্রিফেকচারের উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে।
এনএইচকে জানিয়েছে, ইশিকাওয়ার ওয়াজিমা সিটির উপকূলে এক মিটারেরও বেশি উচ্চতার (৩.৩ ফুট) ঢেউ আঘাত হেনেছে। এতে বলা হয়েছে, ইশিকাওয়ার জন্য আরেকটি ভূমিকম্প সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপান মেটিওরোলজিক্যাল এজেন্সি অনুসারে, পাঁচ মিটার (১৬.৫ ফুট) পর্যন্ত উচ্চতার সুনামি নোটোতে পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
হোকুরিকু ইলেকট্রিক পাওয়ার বলেছে যে, তারা তার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না সেটি পরীক্ষা করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, পূর্ব উপকূলের গ্যাংওয়ান প্রদেশের কিছু অংশে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে।
পৃথিবীর যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানে। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণেই দেশটিতে বেশি ভূমিকম্প হয়। দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে দুই হাজারের মতো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। ভূমিকম্পগুলোর অধিকাংশই ক্ষীণ হয়ে থাকে।
পৃথিবীর কাঠামো মোটামুটি তিনটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমত, বহির্ভাগের লবণাক্ত ও কঠিন ভূতক (পুরুত্ব প্রায় ৩০ কি.মি), দ্বিতীয়ত এর নিচে যা ২৯০০ কি.মি পুরু এক ধরনের ঘন ও আঠালো অংশ আর তৃতীয়ত সাড়ে তিন হাজার ব্যাসের কেন্দ্রীয় পৃষ্ঠ। দ্বিতীয় অংশের ঘন ও আঠালো ভাগের উপরিভাগ সাতটি অংশে বিভক্ত।
এইগুলোই হচ্ছে টেকটোনিক প্লেট। প্লেটগুলোর নাম – প্রশান্ত মহাসাগরীয়, ইউরেশীয়, আফ্রিকান, আটলান্টিক, উত্তর আমেরিকান, দক্ষিণ আমেরিকান এবং ইন্দো-অস্ট্রেলীয়। টেকটোনিক প্লেটগুলোর একটি অপরটির সঙ্গে সংঘর্ষ হলে অথবা ধাক্কা লাগলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।