চলতি বছর জুলাইতেই আবার টোকিও শহরেই বসার কথা রয়েছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বিশ্বব্যাপি যে মারাত্মক হারে বেড়ে চলেছে, তাতে এ বছরও অলিম্পিক গেমস আয়োজন করা যাবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কিন্তু আয়োজক দেশ জাপান এবং সংস্থা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তারা এ বছর অলিম্পিক গেমস আয়োজন করবেই। এমনকি আইওসির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, যদি টোকিওতে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়, তাতে অলিম্পিক গেমস আয়োজন বাধাগ্রস্থ হবে না। যে কোনো মূল্যে আয়োজন করা হবেই।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির এক কর্মকর্তা খুব জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই পিছপা হবেন না। গেমস মাঠে গড়াতে আর মাত্র ৯ সপ্তাহ সময় বাকি আছে। এই সময়ে এসেও আইওসি গেমস আয়োজন নিয়ে দ্বীধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে। বিশেষ করে, করোনার কারণেস জাপানের চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য বড় ধরনের একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে এই গেমসটি।
এ নিয়েই আয়োজক দেশ জাপান এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মধ্যে তিনদিনের ভার্চুয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে আসা হয় এবং শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যেভাবেই হোক গেমস আয়োজন করা হবেই। টোকিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যার দেশ আবার ২০২৪ সালের অলিম্পিকের আয়োজক।
তবে আইওসি কিংবা টোকিও প্রশাসন গেমস আয়োজনে যতই উদ্যোগী হোক, সাধারণ জনগন এই গেমস আয়োজনের তুমুল বিরোধী। রয়টার্সের একটি কোম্পানি আজ (শুক্রবার) একটি জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ৭০ ভাগ জাপানি চায় না, এই গেমস আয়োজন হোক। তারা চায় এই গেমস বাতিল করা হোক কিংবা আবারও স্থগিত করা হোক।
প্রশ্ন করা হয়, করোনার যে উর্ধ্বগতি, তাতে যদি টোকিওতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি থাকে, তখন কিভাবে এই গেমস আয়োজন করা হবে? জবাবে আইওসির সহ-সভাপতি জন কোটস, যিনি আয়োজনের প্রস্তুতি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা বলবো হ্যাঁ।’ অর্থ্যাৎ, গেমস আয়োজন হবেই।
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের সমস্ত পরিকল্পনাই সাজানো হয়েছে সর্বাগ্রে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা ঠিক করেই। জাপানের সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে, এমন শঙ্কা মাথায় রেখেই সব পরিকল্পনা সাজিয়েছি আমরা।’ জন কোটস ভার্চুয়াল কনফারেন্স শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অলিম্পিক ভিলেজে যেসব অ্যাথলেট থাকবে, ২৩ জুলাই গেমস শুরুর আগে তাদের ৮০ ভাগকেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।’ তিনি একই সঙ্গে যোগ করেন, বিদেশি ডেলিগেটসদের জন্য আলাদা মেডিক্যাল টিম কাজ করবে।