জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় সিলেকশন নিয়ে বছরের পর বছর সমালোচনা হচ্ছে। ফুটবল অঙ্গনে সিলেকশন নিয়ে নানা কথা মুখে মুখে। সঠিক খেলোয়াড়কে নেওয়া হয় না। দলের নামের ওপর নির্ভর করে জাতীয় দলে ডাকা হয়। অমুকের সঙ্গে খাতির রাখলে জাতীয় দলের জার্সি পাওয়া সহজ। অমুক দলে কম পারিশ্রমিকে খেলতে রাজি হলে জাতীয় দলেও খেলা যায়।
কোচ জেমি খেলোয়াড় সিলেকশন করেন না। তাকে একটা তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয়। জেমিও সেটাই হাতে নিয়ে অনুশীলনে চলে আসেন। গোলকিপার সোহেল বার বার ভুল করলেও তাকেই পুনরায় জাতীয় দলে দেখা যায়। এটা নিয়েও কম সমালোচনা হয়নি। খেলোয়াড় সিলেকশন নিয়ে খোদ ফেডারেশনের অভ্যন্তরেও অনেকেই জানেন। ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের কানেও গিয়েছিল অনেক কথা। কিন্তু তিনি কখনো আমলে নেননি। অবশেষে বাফুফের সভাপতি বিষয়টি নিয়ে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসেছেন। সরাসরি বলেননি যে, জাতীয় দল গঠন নিয়ে সমালোচনা হয়। তিনি বলেছেন, সিলেকশনে বিশ্বাস করেন না।
অনেক দেরি হলেও বাফুফের সভাপতি বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতো ফুটবলার এবং সংগঠকের কাছ থেকে দেশের ফুটবল ভক্তরা অনেক কিছু আশা করেন। তাই হয়ত জাতীয় দল গঠনেও সালাহউদ্দিন চোখ-কান খোলা রাখবেন এটাই সবাই বিশ্বাস করে। গতকাল দুপুরে বাফুফে ভবনে আবাহনী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এবং বসুন্ধরা কিংসের কোচ ম্যানেজারের সঙ্গে বসেছিলেন বাফুফে সভাপতি। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘১২ বছর লিগ হচ্ছে। খেলোয়াড়রা খেলছেন। এখন জাতীয় দলের রেজাল্ট দরকার। আমি প্লেয়ার সিলেকশনে বিশ্বাসী না।’ তিনি বলেন, ‘প্লেয়ার সিলেকশন হয়। আমরা দেখি আপনারাও দেখেন। আপনারা ক্লাবগুলো পেশাদারী চোখে দেখেন। তাদের (ক্লাবগুলো) কাছে আমি জানতে চাই। শিখতে চাই। যেভাবে খেলোয়াড় সিলেকশন হয় আপনাদের মতামত কি। আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে কীভাবে কি করতেন।’
সালাহউদ্দিন হয়ত বুঝতে পারছেন জাতীয় দলকে যেভাবে অর্থ ঢেলে দিচ্ছেন সেভাবে রেজাল্ট আসছে না। হয়ত সিলেকশন হোক কিংবা আর কোনো ফাঁক-ফোকর হোক পরিশ্রমের গুড় অন্য কেউ খেয়ে ফেলছে। কোথায় সমস্যা এটা বের করতে চাইছেন সাবেক এই স্ট্রাইকার। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আসলে আমাদের এখন কাজ হচ্ছে জাতীয় দলটাকে হাতে ধরে একটা জায়গায় তুলে নেওয়া।’ লিগের আরো তিন ক্লাবকে ডাকবেন, বসবেন এবং কথা বলবেন সভাপতি।