সাকিব আল হাসান- বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবথেকে বড় আইকন তিনি। দেশসেরা এই ক্রিকেটার এবার নতুন এক ইনিংস শুরু করেছেন, যোগ দিয়েছেন রাজনীতিতে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আসছে ১৮ ডিসেম্বর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন নির্বাচনী প্রচারণার কাজ। বর্তমানে তিনি আছেন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে। সেখানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লিগ আয়োজিত এক অনূষ্ঠানে, কথা বলেছেন ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে।
বিশ্বব্যাপি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র জনপ্রিয় মুখ সাকিব। তবে জাতীয় দলে সময় দিতেই এখন তিনিই নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন এসব লিগে খেলা থেকে। গতকাল এমন কথাই জানিয়েছেন তিনি।
সাকিব বলেন, ‘আইপিএলে নাম দিইনি। স্বাভাবিকভাবে এতে একটা উইন্ডো (সময়) খুলবে আমার জন্য। পিএসএলে আমার ম্যানেজার যখন নাম দিয়েছিল, তখন আমি তাকে বলেছি, নামটা প্রত্যাহার করে নিতে। পিএসএলেও আমার নাম নেই। পরিকল্পনা থাকবে পুরো সময়টাই যেন জাতীয় দলে দিতে পারি।’
আরও অনেক দিন খেলা চালিয়ে যেতে চান জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আগে যে ফ্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোতে খেলতাম, হয়তো এগুলো আমি স্যাক্রিফাইস করব। তিনটি সংস্করণেই খেলছি। আশা করব, যেন খেলা আরও চালিয়ে যেতে পারি। ভবিষ্যৎ তো কেউ কখনো বলতে পারে না। তবে ইচ্ছা আছে আরও অনেক দিন ক্রিকেট খেলে যাওয়ার।’
এদিন সাকিব কথা বলেছেন বিশ্বকাপে পাওয়া আঙুলের চোটের সবশেষ অবস্থা নিয়েও। সেরে ওঠতে আরও সময় লাগবে জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আশা ছিল যে নিউজিল্যান্ডে অন্তত টি–টোয়েন্টি আর ওয়ানডে খেলতে যাব। কারণ, চার সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যাবে (আঙুলের চোট)। কিন্তু আমি দুই দিন আগে এখানে ডাক্তার দেখিয়েছি, ডাক্তার বলেছেন আরও দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে।’
চোট থেকে সেরে ওঠে আসন্ন বিপিএল দিয়ে তিনি আবার মাঠে ফিরবেন বলেই জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। সাকিব বলেন, ‘যতটুকু সময় লাগার কথা তার চেয়ে বেশি লাগছে, ছয় সপ্তাহের মতো লাগবে। তারপর পুনর্বাসন এবং ফিটনেস ফিরে পেতে হবে। বিপিএলের আগে আমি আসলে খুব একটা সুযোগ দেখছি না। এই সময়ে নির্বাচনও আছে। স্বাভাবিকভাবে বিপিএল থেকেই আমার খেলাটা আবার শুরু হবে বলে আমি মনে করি।’