বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, আমেরিকা শুধু শক্তিশালী রাষ্ট্রই নয়। আমরা আমেরিকা থেকে তিন হাজার কোটি টাকার মালামাল আমদানি করি, পক্ষান্তরে তৈরি পোশাক, চামড়াসহ রফতানি করি সোয়া লক্ষ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে যদি আমরা দেশে গণ
তন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারি আমেরিকা, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা অর্থনৈতিক বাজার হারাবো। ধ্বংসের মুখে পড়বে দেশের অর্থনীতি। মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বার বার এটি স্পষ্ট হয়েছে যে দেশে গণতন্ত্র নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। পরে জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনর্বাসন করেছেন। এজন্য জিয়াউর রহমানের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা থাকা উচিত। কিন্তু তারা জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।
বুলু বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমাতে সরকারের নির্দেশে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় দেয়া হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া দুর্নীতির মামলার রায় ক্ষমতাসীনদের প্রতিহিংসার প্রতিফলন।
আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের চলমান আন্দোলন নস্যাৎ করার অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। লাভ নেই। এ আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। আর জনতার আন্দোলন কখনও ব্যর্থ হয় না। আর যে আন্দোলন তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে আন্দোলন এখন সফলতার দ্বারপ্রান্তে।
ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে আব্দুস সালাম বলেন, বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগই জাতির জন্য ‘বিষফোড়া’। এরা পুরো জাতিকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। গুম, খুন করে জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায়। কিন্তু এবার জনগণ সমুচিত জবাব দিবে।
সরকার মহা দুর্নীতিতে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা এদেশ থেকে ১৪ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। এ টাকা পাচারের বিচার জনগণ একদিন করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আনম খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহিম) এর সভাপতিত্বে কৃষক দল নেতা আব্দুল্লাহ নাইমের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের রহমতুল্লাহ, মাওলানা শাহ নেছারুল হক, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল হক, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম-আহবায়ক মনিরুজ্জামান, কৃষক দলের জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।