জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে উপকূলের লাখও মানুষের জীবন-জীবিকা। বাপ-দাদার ভিটে, পেশা সব হারিয়ে উদ্বাস্তু হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এমন বাস্তুহারা মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বিশ্বনেতাদের তদারকি বাড়ানো দরকার। এখনই সংকট সমাধানের পথে না হাঁটলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার উপ-মহাপরিচালক উগোচি ডেনিয়েলস্ যমুনা টেলিভিশনকে জানান, জলবায়ু সম্মেলনে বিষয়গুলো সবার নজরে আনতে কাজ করছেন তারা। বিপর্যস্ত এমন মানুষের ভাগ্য বদলের পথ খোঁজা এবং তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করার কথা জলবায়ু সম্মেলনে। যদিও শেষ পর্যন্ত তা কতটা হলো, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
ব্র্যাকের নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ সালেহ বলেন, জলাবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের স্থান পরিবর্তন হয় বা হবে, সেটা কিন্তু নিজের ইচ্ছায় হয় না। সেটা হয়, নদী ভাঙন হয়েছে; আমি যে জায়গাতে আছি, সেখানে জীবিকা চলে গেছে। বাধ্য হয়ে আমি মাইগ্রেট করছি। আমরা এটাকে বড় করে বলতে চাচ্ছি। এটা শুধু স্থান পরিবর্তন নয়, এটা একটা পরিবারের জন্য বড় রকমের বিপর্যয়।
মিশরের শারম আল শেইখ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থাও সংকট মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের এ বিষয়ে একমত হওয়ার তাগিদ দিচ্ছে। উগোচি ডেনিয়েলস্ বলেন, জলবায়ু প্রভাবের কারণে প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ তাদের ঘরছাড়া হচ্ছে। জাতিসংঘ ও জলবায়ু সংশ্লিষ্ট বিশ্ব নেতাদের জলবায়ুর এ প্রভাব কমিয়ে আনা দরকার। আমি মনে করছি, এর অর্থায়ন ও প্রভাব থেকে মুক্ত করার দায়িত্ব বিশ্ব নেতাদের। আমরা বিষয়গুলো কার্যকের কাজ করছি। জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে না পারলে সামাজিক অন্যান্য সংকটও যে বাড়বে সে কথা উঠে এসেছে সম্মেলনের বিভিন্ন আলোচনায়।