জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ী দেশগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনাসহ চার দফা দাবি তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বাস্তবসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান খুঁজে বের করারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি। সোমবার (১ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। এর আগে, ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ বিষয়ে সিভিএফ-কমনওয়েলথ উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বের ভবিষ্যৎ বিপর্যয় ঠেকানোর উপায় খুঁজতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনে বসেছেন বিশ্বনেতারা। ১৩ দিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজ নিজ দেশের অবস্থান তুলে ধরেন বিশ্বনেতারা। জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসছে তার দেশ।
এর আগে, সিভিএফের বৈঠকে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে কমনওয়েলথ এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। করোনা বাস্তবতায় দুই বছর পরে বসা এবারের আসরে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের দেড় শতাধিক দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।