এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির মুখপাত্র ও ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ ভূইঁয়া। তিনি বলেন, আমরা যখন ক্যাম্পাস থেকে এসেছি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে ফিরবো না। এই মুহূর্ত থেকে আমাদের গণঅনশন শুরু হলো।
এর আগে বিকাল ৩টায় সমাবেশে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে গণঅনশনের ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে আমাদের আর পেছনে ফেরার জায়গা নেই। আমরা বিকেল সাড়ে তিনটায় অনশন কর্মসূচি শুরু করব। বিজয় না নিয়ে আমরা ফিরছি না।
জবিয়ানদের গণঅনশন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এই মুহূর্তে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল রয়েছে কাকরাইল মসজিদ মোড়। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে এই সরকারের কিসের এত সমস্যা। এই দাবি আদায় করতে গিয়ে আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি সাংবাদিকবৃন্দও আহত হয়েছেন। জাতীয় বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছেন। কিন্তু এই সরকারের আমাদের রক্তের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েও তারা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার মেনে নিতে চাইছেন না।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে ‘জবি ঐক্যের’ পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন আজকের কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো-
আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।