জাপানে শিশু জন্মের হার না বাড়লে দেশটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। জাপানি প্রধানমন্ত্রীর এক সহকারী এমন তথ্য দিয়েছেন। তার মতে, দেশটিকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার উপদেষ্টা মাসাকো মোরি জানান, ‘জাপান যদি তার শিশু জন্মহার হ্রাসকে প্রতিহত করতে না পারে, তবে তা দেশটির সামাজিক সুরক্ষা জাল এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস হওয়ার মতো ঝুঁকিতে ফেলবে। একটা সময় দেশটির কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।’
২৮ ফেব্রুয়ারি জাপান ঘোষণা করেছে যে তাদের দেশে গত বছর জন্মগ্রহণকারী শিশুদের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এরপর টোকিওতে এক সাক্ষাত্কারে মোরি বলেন, ‘আমরা যদি এভাবে চলতে থাকি, তাহলে জাপান নামের দেশটি অদৃশ্য বা ধ্বংস হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘জাপানে বেশি মানুষ মারা যাওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে, যারা বেঁচে থাকবে তারা প্রচুর সমস্যায় পড়বে। এভাবে অসংখ্য মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা একটি ভয়ানক রোগ, এটা শিশুদের পীড়িত করবে।’
গত বছর জাপানে নতুন শিশু জন্মের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষ মারা গেছেন। ওই সময় দেশটিতে মাত্র আট লাখ শিশু জন্মেছিল এবং ১৫ লাখ ৮০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।
এমন ঘটনায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন। তিনি এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জাপানি শিশু এবং পরিবারের জন্য দ্বিগুণ অর্থ ব্যয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
২০০৮ সালে জাপানের মোট জনসংখ্যা ছিলো ১২ কোটি ৮০লাখ। এখন দেশটির জনসংখ্যা কমে হয়েছে ১২ কোটি ৪৬ লাখ। সেখানে শিশু জন্মের হার কমছে।
জাপানে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি বেড়েছে। বিশ্বে দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মের হার সবচেয়ে কম হলেও জাপানের মোট জনসংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে।