বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের তকমা আর চীনের কাছে রইল না! বহু বিশেষজ্ঞের পূর্বানুমানকে সত্যি করে ভারতই এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। বুধবার জাতিসংঘের একটি সমীক্ষায় এমনটাই জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, চলতি বছরেই জনসংখ্যায় প্রতিবেশী চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। এই বছরেই দুই দেশের মধ্যে জনসংখ্যার পার্থক্য হবে ৩০ লাখ।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিশ্বের সর্বাধিক জনবহুল দেশের তকমা পাওয়া চীন ‘এক সন্তান নীতি’র ওপরে জোর দিয়েছিল। তারপরই জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে সে দেশে। ছয় দশক পরে প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শুধু থমকেই যায়নি, অস্বাভাবিকভাবে কমতেও থাকে।
পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, ভারতেও জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার থমকে গেছে। ২০১১ সালের পর দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.০২ শতাংশে থমকে গেছে, যা আগে ছিল ১.০৭ শতাংশ। তবে চীনের মতো জনসংখ্যার হার খুব বেশি কমেনি ভারতে।
তবে জাতিসংঘ তাদের সমীক্ষায় নির্দিষ্টভাবে জানায়নি যে ঠিক কোন সময়ে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বাধিক জনবহুল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তার কারণ বর্ণনায় তথ্যের অপ্রতুলতাকেই দায়ী করা হচ্ছে। প্রতি দশ বছর অন্তর আদমশুমারি হওয়ার কথা থাকলেও ২০১১ সালের পর ভারতে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে তা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তবে সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশ ভারত ও চীনে।