আগামীতে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বিএনপির গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। কিন্তু জনগণ বার্তা দিয়েছে যে তারা সরকারকে চায় না। জনগণ গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে প্রস্তুত।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘শহীদ ডা. মিলন—গণতন্ত্রের মুক্তি এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
আগামীতে বিএনপির কর্মসূচি আসবে বলে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা এখন চাল, ডাল, তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করছি। কিন্তু আগামীতে হবে সরকারের পতনের আন্দোলন করা হবে।
ওয়ান ইলেভেনের সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিদেশে যাননি জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে অনেক চাপ দেওয়া হয়েছিলো। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ওয়ান ইলেভেনের সরকারকে বৈধতা দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন ওয়ান ইলেভেনের সরকার নাকি তাদের আন্দোলনের ফসল। এরপর তারা ক্ষমতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে।
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, সেসময় খালেদা জিয়ার আহ্বানে সারাদেশে আন্দোলন ছিল তুঙ্গে। এরশাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ডা. মিলন। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়েই আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ নেয়। মিলনসহ আরও ছাত্র ও শ্রমিক নেতার জীবন দেওয়ার পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়েছিল। খালেদা জিয়ার আপোষহীন মনোভাব ছিল তার নেপথ্য কারণ। তখন দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
খালেদা জিয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সংযোজন করেছিলেন উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, মানুষ খুশিমতো ভোট দিতে পেরেছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় গিয়েছিল। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগও ক্ষমতায় এসেছিল। এরপর শুরু হলো চক্রান্ত।
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, ড্যাবের সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম ও উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. শাহিদুর রহমানসহ আরও অনেকে।