গত ছয় বছরে দেশের মানুষের আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে দাবি করছে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস। সংস্থাটি বলছে, দেশে বর্তমানে (২০২২ সালের জরিপে) একটি খানার (পরিবার) মাসিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪২২ টাকা। ২০১৬ সালে যা ছিল ১৫ হাজার ৯৮৮ টাকা। তবে আয়ের পাশাপাশি খরচও সেই হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ‘খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২’ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসিএস।
জরিপের তথ্য প্রকাশ করেন প্রকল্প পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
বিবিএস জানায়, ২০১০ সালে প্রতি পরিবারের খরচ ছিল মাত্র ১১ হাজার ২০০ টাকা। একই সময়ে আয় ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা। ফলে এক যুগের ব্যবধানে আয় যেমন বেড়েছে, পাশাপাশি খরচও বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। ২০১৬ সালের জরিপে এই হার ছিল ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২০ সালে বিবিএস এর প্রাক্কলনে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছিল।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, দেশে এখন অতি দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৬ সালের জরিপে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। বিবিএস এর ২০২০ সালের প্রাক্কলনে অতি দারিদ্র্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ দেখানো হয়েছিল।
বিবিএস জানায়, মানুষের মাথাপিছু মাসিক আয় ও ব্যয় এবং জনপ্রতি ক্যালরি গ্রহণের হারও আগের চেয়ে বেড়েছে। মৌলিক চাহিদা মেটানোর ব্যয়ের ভিত্তিতে বিবিএস দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের খানা আয় ও ব্যয় জরিপে সারাদেশে ১৪ হাজার ৪০০ পরিবারের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বছরব্যাপী এই তথ্য সংগ্রহের কাজ চলে।