‘সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে ছেলে শিশু এবং প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষদের ওপর যৌন সহিংসতা বাড়ছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো আইন না থাকায় নির্যাতনের শিকার হয়েও কেউ বিচার পাচ্ছেন না। অথচ ছেলে শিশু বলৎকার এখন নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপারে হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি না হওয়া সমাজের মধ্যে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা ক্রমশই বাড়ছে। তাই এই নারী শিশু নির্যাতন আইনের মত করে এখন ছেলেদের ওপর যৌন সহিতাংতা রোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রয়োজন’।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রাজশাহীর বেসরকারি মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা এসিডি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক গণমাধ্যম সংলাপে বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেছেন। যৌন সহিংসতা দ্বারা প্রভাবিত ছেলেদের সুরক্ষায় সামাজিক নিয়মের মধ্য দিয়ে কীভাবে অধিকতর যত্ন নেওয়া যায় এবং যৌন সহিংসতায় নির্যাতিত ছেলেরা যাতে সংকট কাটিয়ে বেড়ে উঠতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণের উদ্দেশ্যে এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক জোট ফ্যামিলি ফর এভরি চাইল্ড’র সহযোগিতায় উন্নয়ন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) আজ ‘ব্লু আমব্রেলা দিবস’ পালন করে। এ উপলক্ষে ছেলেদের ওপর যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে এক গণমাধ্যম সংলাপের আয়োজন করে। এসিডি পরিচালক (প্রোগ্রাম) শারমিন সুবরিনা সংলাপের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। সুব্রত কুমার পালের সঞ্চালনায় সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত।
এ সময় দিবসের প্রতিপাদ্য এবং ছেলেদের উপর যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে কারণ এবং করণীয় নিয়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বাসসের সিনিয়র সাংবাদিক ড. আইনুল হক, ডেইলি স্টার সিনিয়র রিপোর্টার আনোয়ার আলী হিমু, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার মো. আনিসুজ্জামান, বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট শরীফ সুমন, দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মামুন অর রশিদ, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ সম্পাদক আহসান হাবিব অপু, এসএ টিভির ব্যুরো প্রধান জিয়াউল গনি সেলিম, যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ করসপন্ডেন্ট মওদুদ রানা, দৈনিক সোনালী সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার কাজী নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।
সংলাপে বক্তারা বলেন, ছেলেদের ওপর যৌন হয়রানি বা সহিংসতা প্রতিরোধে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ছেলে শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে, কিন্তু সংকোচে বা লজ্জায় তারা কাউকে বিষযটি শেয়ার করছেনা, যে কারণে এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে। তাই আমাদের সবাইকে ছেলেদের যৌন সহিংসতারোধে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, ধর্মীয় নেতা, গণমাধ্যম ভূমিকা রাখলে ছেলেদের ওপর যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।