ঢাকা মেডিক্যাল থেকে এক আসামিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় হওয়া মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ এপ্রিল আকরামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে রোববার তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৮ এপ্রিল রাত ১টার দিকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে আকরামকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পুলিশ চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে জোরপূর্বক পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় একইদিনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান করিব। মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, সোহরাব, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়।