কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগনেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ ছাত্রীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬০ জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বহিস্কৃত ৫ শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার আলোকে অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্র শৃঙ্খলা অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ শাস্তি ১ বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে পুনরায় সাজা নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ২৬ জুলাই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে আরও কয়েকজন সহযোগীদের দ্বারা নবীন ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ঘটনা ভিডিও ধারণ করে নেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে যান ওই ছাত্রী। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী।
এরপর ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং হল কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করে। এর বাইরে হাই কোর্টের নির্দেশে একটি বিচার বিভাগীয় এবং ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আরও দুটি কমিটি করে।