বরগুনার তালতলীতে ছাত্রলীগ নেতা রাহাত মিনহাজ ও তার সহযোগী প্রিন্সের হয়রানি ও চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্রডব্যান্ড ব্যবসায়ী জাহিদুল হক সোহাগ। মঙ্গলবার দুপুরে তার নিজ বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জাহিদুল হক সোহাগ লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি ১০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তালতলী শহরে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি (আইএসপি) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যবসা স্থাপন করি। এর কিছুদিন পর থেকে তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাহাত মিনহাজ ও তার সহযোগী প্রিন্স আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে চাঁদা আদায় করে আসছেন। রাহাত মিনহাজ দীর্ঘদিন ধরে তালতলী বাজারে ছালাম ডুবুরির ঘরে ভাড়া থেকে আসছেন। সেই ঘরের ভাড়া টাকা আমার কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ তারিখে নিয়ে যেতেন এবং প্রতিদিন তার মোটরসাইকেলের তেল কেনার ও নাস্তা খাওয়া বাবদ ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নিত। এ সময় বলতো আপনি যে ব্যবসা করেন এই আমলে তার জন্য দিতে হবে এবং বিভিন্ন প্রকার কটের হাত থেকে বাঁচতে হলে যতদিন এই ব্যবসা চলবে ততদিন এরকমভাবে টাকা দিতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বলত এসপি ও ওসিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে যাব; কিছু বারমিজ পিঠা নিয়ে যেতে হবে দুই হাজার টাকা দেন। এভাবেই গত দুই বছর আমার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত আগস্ট মাসে রাহাত এসে বলে টাকা দেন ঘর ভাড়া দিমু। তখন টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হন এবং বলেন তোকে দেখে নেব। এর কিছুদিন পরে আমার ছোট ভাই রাছেলকে ডেকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় আটকিয়ে রাহাত ও প্রিন্স তাকে মারধর করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আকুল আবেদন যাতে আমি এর সুষ্ঠু বিচার পাইতে পারি তার সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
সোমবার বরগুনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে রাহাত মিনহাজ ও প্রিন্সের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন সোহাগ। শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি। ছাত্রলীগ নেতা রাহাত মিনহাজ চাঁদাবাজির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। তালতলী থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।