ছাত্রলীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সরগরম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে। এসব নেতাকর্মী ব্যবহার করছেন হলের ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া, টয়লেট, ওয়াশরুমসহ ছাত্রদের সকল ব্যবহার্য জিনিস। এতে বিপাকে পড়েছে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাবি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিন শতাধিক বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বেশিরভাগ অংশই অবস্থান করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। ঘুরে ঘুরে দেখছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। যত্রতত্র ফেলে রেখেছে খাবারের প্যাকেটসহ উচ্ছিষ্ট খাবারের অংশ। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের দৈন্দিন কার্যক্রম। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অনেকে ক্ষোভ জানাতে দেখা যায়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাবির সূর্যসেন হলের এক শিক্ষার্থী ঢাকা মেইলকে বলেন, সকালে ঘুম থেকে টয়লেটে গিয়ে দেখি লম্বা লাইন। আধাঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে গোসল খানায় ডুকতে পেরেছি। ক্যান্টিনেরও একই পরিস্থিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীম উদ্দীন হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিবারই রাজনৈতিক কোন সমাবেশ-মহাসমাবেশ হলে এর সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয় হলে অবস্থান করা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। সকাল থেকে হলের সামনে উচ্চস্বরে মাইক বাজাচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো উত্তর মেলেনি।