টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে এমপির সামনেই দু’পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা স্থগিত করেছে জেলা থেকে নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অন্যদিকে, দলীয় কার্যালয় বন্ধসহ পৌর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। একইসাথে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা সভাস্থলে ত্যাগ করে। এমপি ও মেয়র দু’পক্ষের অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, আগামী ৭ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বর্ধিত সভা করে আসছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করে ভূঞাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এ বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদহ তার অনুসারী এবং বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা শুরু করেন। সভা চলাকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সভায় প্রবেশ করলে তার সামনে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এমপি ও মেয়র পক্ষের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও মিছিল প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আমরা আগামী ৭ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা শুরু করি। সভা শুরুকালে এমপি মহোদয় সভাস্থলে প্রবেশ করলে আমি তাকে বসতে আহ্বান জানাই।
তিনি আরও জানান, সে সময় তিনি না বসে আমাকে পাশ কাটিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করাকালে তার সাথে আসা কিছু নেতাকর্মী হঠাৎ করে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। পরে আমরা সভাস্থল ত্যাগ করে চলে আসি।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রবেশ করলে বসার জায়গা না থাকায় সভাস্থলে কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ থেকে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে জেলার নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভা স্থগিত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দু’পক্ষের হাতাহাতির ঘটনায় ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেননি। এছাড়া ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।