নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুনছুর উল্লাহ শিবলীর বাসা তল্লাশি করে ২৭৯ সিমকার্ড ও ৭৬ মোবাইল ফোন জব্দ করেছে নৌবাহিনী। এসব সিমকার্ডে নগদের মাধ্যমে ভাতাভোগীদের নামে বরাদ্দের অর্থ লেনদেন করা হতো। চেয়ারম্যান শিবলীকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান শিবলী সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ওয়ালী উল্যার ছেলে। তিনি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে নলচিরা ইউনিয়ন থেকে প্রার্থী হয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নৌবাহিনী জানায়, চেয়ারম্যান শিবলীর বাসা তল্লাশি করে ২৭৯ সিমকার্ড ও ৭৬ মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এসব সিমকার্ড দিয়ে সাধারণ মানুষকে দেওয়া অর্থ আত্মসাৎ করতেন তিনি। সিমকার্ডের মাধ্যমে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা দেওয়া হতো। প্রতিটি সিমকার্ডে নির্দিষ্ট ভাতাভোগীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা।
প্রতি তিন মাস পরপর ভাতাভোগীর নামে বরাদ্দ করা টাকা রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল ফোন নম্বরে চলে যেত। যা পরে ভাতাভোগীরা নগদের এজেন্টের কাছে গিয়ে উত্তোলন করতে পারতেন। কিন্তু চেয়ারম্যান অবৈধভাবে এসব সিমকার্ড নিজের কাছে রেখে সাধারণ মানুষের ভাতার টাকা নিজে আত্মসাৎ করতেন। জব্দ করা এসব সিমকার্ডসহ হাতিয়া থানায় তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় নৌবাহিনী।