চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। যদিও চীনের হুমকি উপেক্ষা করে এরই মধ্যে তাইওয়ান সফর শেষ করেছেন মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তবে ক্ষুব্ধ চীন তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চীন ও তাইওয়ান মুখোমুখী অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এখন প্রশ্ন উঠেছে কার সামরিক শক্তি কত।
জানা গেছে, সামরিক সংঘাতে জড়ালে তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী চীনের সামরিক সক্ষমতার কাছে নগণ্য। বিশ্ব যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রতিরক্ষা খাতে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে চীন। নৌবাহিনীর শক্তি থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি, বিমান ও সাইবার হামলার সক্ষমতা সব দিক দিয়েই চীনের শক্তি অনেক বেশি।
চীন তার সামরিক শক্তি ব্যবহার করে থাকে অন্যত্র। কিন্তু সক্রিয় সেনা মোতায়েনের সার্বিক ক্ষমতা দিয়ে বিচার করলে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে ভারসাম্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ।
চীনের জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ। তাইওয়ানের জনসংখ্যা মাত্র দুই কোটি ৩৬ লাখ। জনসংখ্যার বিচারে চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনাই চলে না।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার, ২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী, সামরিক খাতে চীন বিপুল খরচ করে। খুব কম দেশই এতটা খরচ করে বা করতে পারে। চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৩ হাজার কোটি ডলার। সেই তুলনায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট এক হাজার ৬৮০ কোটি ডলার।
তাছাড়া চীনের সক্রিয় সেনার সংখ্যা ২০ লাখ। আর তাইওয়ানের এক লাখ ৭০ হাজার মাত্র। ফলে সেনাসংখ্যার হিসাবেও চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনা চলে না।
চীনের কাছে আছে পাঁচ হাজার ২৫০টি ট্যাঙ্ক। আর তাইওয়ানের কাছে এক হাজার ১১০টি। ফলে এক্ষেত্রেও তুলনা অসম। চীনের কাছে তিন হাজার ২৮৫টি যুদ্ধবিমান আছে। তাইওয়ানের কাছে আছে মাত্র ৭৪১টি। তবে তাইওয়ানের কাছে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। চীনের নৌবহর ৭৭৭টি। তাইওয়ানের মাত্র ১৭৭টি।
ট্রেন্ডস ইন ওয়ার্ল্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার ২০২১ অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি খরচ করে অ্যামেরিকা, ৮০ হাজার কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। তারা ২৯ হাজার কোটি ডলার খরচ করে। তাইওয়ান সেখানে খরচ করে এক হাজার তিনশ কোটি ডলার। তবে তারা সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের থেকে বেশি অর্থ খরচ করে।