চীন এখন বিশ্বের সরকারি ঋণদাতাদের মধ্যে প্রথমে আছে। যা প্রায় ৬৫% বা ৫.৬ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০২০- এর এক সমীকরণে প্রকাশ পেয়েছে, বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে সম্মিলিত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চীনের এই ঋণ। চীন “নো-স্ট্রিং এটাচ” পদ্ধতি অবলম্বন করে এবং তার প্রেক্ষিতে চীন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঋণ এর আওতায় আনছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক হোয়াইট পেপারে চীন তার এই ঋণকে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা হিসেবে অভিহিত করেছে।
মূলত উপকারভোগীদের প্রলুব্ধ করার পর তাদের ঋণের ফাঁদে ফেলে দ্রুত হাতের মুঠোয় আনার লক্ষ্য নিয়ে চীনের ঋণ প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। চীনা ঋণের বিপরীতে উচ্চ সুদের হার গুনতে হয়। অপরদিকে ঘন ঘন সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ফলে ঋণগ্রহীতা দেশগুলো ঋণ পরিশোধে হিমশিম খায়। এটাই হচ্ছে চীনা ‘ঋণের ফাঁদ’। এ কারণে প্রতি দুই বছর পর বা তারও আগে জামানত হিসেবে ব্যবহৃত স্ট্র্যাটেজিক জাতীয় সম্পদ পুনরায় তফশিল করার প্রয়োজন পড়ে। এ ধরণের চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাওয়ার সুযোগ থাকায় চীনে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকগুলি দরিদ্র দেশগুলিতে ঋণ দিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।