অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনে এশিয়ার দেশ চীনের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে বা নিয়েছে আফ্রিকার দেশগুলো। কিন্তু সেসব ঋণ পরিশোধে এখন হিমশিম খাচ্ছে তারা।
ফলে আফ্রিকার দেশগুলোকে চীন কী শর্তে ঋণ দিচ্ছে সেটির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এ বিষয়টির ওপর মার্কিন প্রশাসন আরও জোর দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তা হোসে ফার্নান্দেজ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি পরিবেশ বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ফার্নান্দেজ জানিয়েছেন, চীনের ঋণের ফাঁদ থেকে আফ্রিকানরা কিভাবে বের হয়ে আসতে পারেন সেটিও খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন তারা।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র-আফ্রিকা সম্মেলনের ফাঁকে একটি সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সময় রোববার এমন কথা বলেছেন তিনি। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান।
গত কয়েক দশকের মধ্যে আফ্রিকায় শক্ত একটি অবস্থান তৈরি করেছে চীন। তারা এ মহাদেশের অনুন্নত দেশগুলোকে দিয়েছে ঋণ। এতে করে চীনের সঙ্গে তাদের ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই দূরত্ব দূর করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে হচ্ছে এবারের যুক্তরাষ্ট্র-আফ্রিকা সম্মেলন।
এদিকে চীনের ঋণ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিও পেঙ্গো দাবি করেছেন, যেসব দেশ ঋণ গ্রহণ করে থাকে সেসব দেশের আইন ও নীতি মেনেই তা প্রদান করা হয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেই রয়েছে চীনের ঋণগুলো কোনো গোপনীয়তা বজায় রেখে দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্বের ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর ঋণের বোঝা উপশমে চীনও কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে আফ্রিকার দেশগুলোকে দেওয়া সুদবিহীন একাধিক ঋণ মওকুফ করেছে চীন। এর মধ্যে ২০১৯ সালেই কমপক্ষে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের আগস্টে চীন ঘোষণা দেয় আফ্রিকার ১৭টি দেশের ২৩টি সুদবিহীন ঋণ মওকুফ করবে তারা।