বাবা ওয়ালী উল্লাহ আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর তিনি রামপুরা থানায় যোগাযোগ করেন। থানা থেকে বলা হয়, পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানে না। সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চাইলে পুলিশ সেটি নেয়নি। পুলিশ ডায়েরিতে নোট নিয়েছে।
ওয়ালী উল্লাহ বলেন, থানা থেকে ফেরার পর ওই দিনই রাত ১০টার দিকে চার থেকে পাঁচজনের একটি দল আবার বাসায় আসে। তাঁরা নিজেদের সিআইডির লোক বলে পরিচয় দেন। পরে শাকিরের ঘর তল্লাশি করে একটি মুঠোফোন নিয়ে যান। তখনো তাঁরা নিজেদের বিস্তারিত পরিচয় জানাননি। শাকিরের বিষয়ে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, শাকির সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ে আছেন। তদন্তের জন্য তাঁরা দ্বিতীয়বার বাসায় এসেছেন।
ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ছেলের খোঁজে গতকাল সোমবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু ছেলের কোনো খোঁজ পাননি। সিআইডি কার্যালয়ে গিয়ে রিসেপশনে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। পরে আবারও রামপুরা থানায় জিডি করতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মাওলা বলেন, তিনি (গোলাম মওলা) নিশ্চিত, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোক শাকিরকে নিয়ে গেছেন। এ কারণে জিডি করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরে জানাবেন।
রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা প্রথম আলোকে বলেন, সিআইডি পরিচয়ে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করতে এসেছিলেন শাকিরের বাবা। তখন সিআইডিতে খোঁজ নিতে বলা হয় তাঁকে। পরে আর তিনি থানায় যোগাযোগ করেননি।
তবে ওয়ালী উল্লাহ বলেছেন, সিআইডিতে খোঁজ নিয়ে ছেলের বিষয়ে তথ্য না পেয়ে তিনি রামপুরা থানায় এসে অভিযোগ দিতে চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, তিনি আর থানায় আসেননি। তিনি লিখিত অভিযোগ দিলে অবশ্যই নেওয়া হবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।