বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে এই সরকারের অধীনে না।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁতি দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, ‘আমরা যে নির্বাচনে যাব সেই নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এমন কোনো নির্বাচনে যাব না- যেখানে ফলাফল পূর্ব নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এমন কোনো নির্বাচনে যাব না, যে নির্বাচনে চারটি বাটন টিপলে ফলাফল বেরিয়ে আসে। চারটি বাটন হচ্ছে- ডিসি, ওসি, টিএনও ও এসপি। ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগ সরকার যখন নির্বাচনের চারটি বাটন চাপ দেয় তখন ফলাফল প্রিন্ট আউট হয়ে বেরিয়ে যায়। নির্বাচন কী হয়েছে না হয়েছে তার সঙ্গে সে প্রিন্টআউটের কোনো সম্পর্ক থাকে না। সেই নির্বাচনে বিএনপি কোনদিন যাবে না।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য যদি সরকার এতই ভালো কাজ করে থাকে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন? মুখে যত কথাই বলুক তাদের অন্তরে জানা হয়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সেটা জানে বলেই তারা আজকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
মঈন খান বলেন, অনেকেই বলেন আপনারা এত বড় রাজনৈতিক দল কেন নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচনে না গেলে কিভাবে ক্ষমতায় যাবেন। ছোট্ট একটি উত্তর দিচ্ছি- বিএনপি কোনো দিন বলে নাই তারা নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল গণতান্ত্রিক বিশ্বাস করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার পরিবর্তনের একটি মাত্র উপায় রয়েছে সেটি হচ্ছে নির্বাচন। আমরা নির্বাচন অতীতে করেছি আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি আমরা নির্বাচন ভবিষ্যতে করব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য স্পষ্ট। আমরা এদেশে জনগণের সরকার চাই। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার একটি মাত্র উপায় সেটি হচ্ছে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হবে না।
তাঁতীদলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।