চলমান বিধিনিষেধের মধ্যে দেশব্যাপী বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন চলাচল। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দোকান-পাট খোলাসহ কিছু বিষয় শিথিলের ঘোষণা এলেও গণপরিবহন ২৮ এপ্রিলের আগে চালুর সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে তিনি ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আজ শুনেছি আগামী ২৫ তারিখ দেশের সব দোকান-পাট খুলে দেওয়া হবে। তাই আমরাও চাই, একইদিনে গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশনা দিক সরকার। তবে সবকিছু বিবেচনা করে বুঝতে পারছি, আগামী ২৮ তারিখের আগে গণপরিবহন চলাচলের আপাতত সম্ভাবনা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ তারিখ থেকে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু এসব শপিংমল বা মার্কেটে ক্রেতাদের যেতে তো পরিবহনের দরকার হবে। তাই আমরা চাই গণপরিবহনের বিষয়টিও সরকার বিবেচনায় আনুক।’
এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আমরা করোনার শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবহন চালাতে। এখনও চাই সব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিবহন চালাতে। সামনে ঈদ। এই ঈদের সময় মানুষ বাড়িতে যাবে। সব সময়ই ঈদের সময় আমাদের পরিবহনের বাড়তি চাপ থাকে। তাই এই সময়টায় পরিবহন বন্ধ থাকলে বাস মালিক ও শ্রমিক উভয়েরই ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, যদি সরকার পরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয় তাহলে আমাদের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা যথাযথভাবে সরকারের দেওয়া নির্দেশনা মেনেই গাড়ি চালাবে। আমাদের মালিক সমিতির পক্ষ থেকে তেমন নির্দেশনাই দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে চলছে সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ। এটি আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এ সময়ে বন্ধ রয়েছে যানচলাচল। এর আগে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এক সপ্তাহের বিধিনিষেধেও প্রথমে যানচলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও বিধিনিষেধের দুদিন না যেতেই সেটি আবার চালু করা হয়।
এদিকে, শুক্রবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী ২৮ এপ্রিলের পর চলমান বিধিনিষেধ আর থাকছে না। ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে দেওয়া হবে। তবে মানুষকে মাস্ক পরতে হবে, শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে। বিধিনিষেধ না থাকলেও জীবনযাত্রার বিষয়ে কিছু দিক-নির্দেশনা থাকবে। আগামী ২৮ এপ্রিল এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।