বুধবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, কিছু ব্যাংক গ্রাহকদের চলমান ঋণসীমার বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যবহারে অনুমতি দিচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সেই বাড়তি অংশ শোধ না করেই ঋণ নবায়ন করা হচ্ছে। এতে ঋণের কোনো অংশ এলে পরিশোধ না করেও গ্রাহকরা নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে থেকে যাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ঋণসীমা ১ হাজার কোটি টাকা হলেও বছর শেষে সেটি সুদসহ বেড়ে ১২০০ কোটি টাকায় পৌঁছায়। তখন তারা ২০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত অংশ নতুন ঋণ দেখিয়ে বাকি ১ হাজার কোটি টাকাসহ সব নবায়ন করে নেয়। ফলে কোনো টাকা ফেরত না দিয়েই ঋণ নিয়মিত দেখানো সম্ভব হয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, চলমান ঋণ অবশ্যই নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই নবায়ন করতে হবে এবং সীমার অতিরিক্ত অর্থ আলাদা করে নতুন কোনো ঋণ হিসেবে দেখানো যাবে না। ওই বাড়তি অংশ অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে।
ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো ও কৃত্রিমভাবে ঋণ নিয়মিত দেখানোর অনিয়ম বন্ধ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।