দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে পেট্রোবাংলা চলতি বছরে মোট ৯টি কূপ খননের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৩টি অনুসন্ধান কূপ রয়েছে। সেগুলো হলো, টবগী-১, শ্রীকাইল নর্থ-১ ও শরীয়তপুর-১, ১টি উন্নয়ন কূপ- ভোলা নর্থ-২। ওয়ার্কওভার করা হয়েছে ৫টি কূপ। সেগুলো হলো, সিলেট-৮, কৈলাসটিলা-৭, সালদা-২, সেমুতাং-৬ ও বিয়ানীবাজার-১।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভোলা জেলার টবগী-১ অনুসন্ধান কূপের খননকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে এবং এ কূপ থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। কুমিল্লা জেলার শ্রীকাইল-১ কূপটির ২৫৯৫ মিটার পর্যন্ত এবং শরীয়তপুর-১ কূপটির ২০০ মিটার পর্যন্ত খননকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাপেক্সের নিজস্ব রিগ দ্বারা শ্রীকাইল নর্থ-১ ও শরীয়তপুর-১ এ ২টি কূপের খননকাজ করা হয়েছে।
অপরদিকে টবগী-১ কূপটি বাপেক্সের ঠিকাদার হিসেবে গ্যাজপ্রম তাদের রিগ দ্বারা খনন করেছে। এছাড়াও ভোলা নর্থ-২ উন্নয়ন কূপের খননের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতির শেষ হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই খননকাজ শুরু করা সম্ভব হবে। এ কূপটিও বাপেক্সের ঠিকাদার হিসেবে খনন করবে গ্যাজপ্রম।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বছরের ৫টি ওয়ার্কওভার কূপের সব কটির খননকাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সেমুতাং-৬ (চাপ কম থাকায় ওয়ার্কওভার শেষে এ কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি) ব্যতীত অপর ৪টি (সিলেট-৮, কৈলাসটিলা-৭, সালদা-২ ও বিয়ানীবাজার-১) ওয়ার্কওভার সফল হয়েছে। বিয়ানীবাজার-১ কূপের ওয়ার্কওভার সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবং ওই কূপ থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে।