‘জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালা’কে যুগোপযোগী করতে এই রোডম্যাপটি প্রণয়ন করেছে ‘চরসাচম অ্যান্ড কমিউনিকেশন উইং’-এর একটি দল, যাঁরা নিজেদের চলচ্চিত্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করছেন।
তাঁদের মতে, বর্তমানে প্রচলিত ‘অনুদান’ শব্দ ও পদ্ধতির প্রতি অনেক নির্মাতার আপত্তি রয়েছে। বাস্তবে এটি একটি যৌথ সহায়তা কাঠামো হওয়ায় নতুন প্রস্তাবে ‘অনুদান’ ও ‘গ্যাপ ফাইন্যান্সিং’—দুই ধরনের সহায়তা চালুর কথা বলা হয়েছে। নামকরণেও পরিবর্তনের প্রস্তাব, যেমন—‘জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালা’র পরিবর্তে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ তহবিল নীতিমালা’।
রোডম্যাপে আরও প্রস্তাব এসেছে
* অনুদান বিতরণকে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিভিত্তিক করা (যেমন নারী নির্মাতা, পাহাড়ি জনগোষ্ঠী, আদিবাসী, শিশুতোষ, এক্সপেরিমেন্টাল, ইতিহাসভিত্তিক চলচ্চিত্র ইত্যাদি)
* অনুদানের পাশাপাশি গ্যাপ ফাইন্যান্সিং চালু করা, যা নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে আর্থিক সহায়তা দেবে
* আবেদন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া পুরোপুরি অনলাইনে নিয়ে যাওয়া
* প্রতিটি চলচ্চিত্রকে তিন ধাপে অর্থ ছাড় (প্রি-প্রোডাকশন, প্রোডাকশন, পোস্ট-প্রোডাকশন শেষে)
* অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র জেলা পর্যায়ে প্রদর্শন, আন্তর্জাতিক উৎসবে পাঠানো এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শনের জন্য সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা
২০২৪ সালের বাস্তব অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে ২০২৫ সালের অনুদান ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার উদ্দেশ্যে এই রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।