চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে। নিছক পারিবারিক অনুষ্ঠান হলেও সেটা হয়ে উঠে রাজনীতিবিদদের মিলনমেলা। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
শনিবার (৬ মে) দুপুরে আয়োজিত বিবাহ-উত্তর ওলিমা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, জেএসডি সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আ. স. ম আব্দুর রব, এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম।
আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী, মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বরকতুল্লাহ বুলু, জাপা নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ এমপিসহ দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক দলের নেতারা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দলের নেতাদের পরস্পরের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করতে দেখা যায়। অনেককে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় গল্পে মেতে উঠতেও দেখা গেছে।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী না দেওয়ায় সেখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে তার লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এটি নিছক একটি সামাজিক অনুষ্ঠান হলেও নির্বাচনের বছরে রাজনৈতিক দলগুলোর এই মিলনমেলাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন দলের উত্থানের বিষয়টি জাতীয়ভাবে নজর কেড়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলেরই চোখ রয়েছে তাদের ওপর।