শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেইলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেন চবির ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার। এ বিষয়ে একটি কমিটিও গঠন করে দিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা হল, বঙ্গবন্ধু হল ও ফজিলাতুন্নেছা হল ছাড়াও চবির শেখ কামাল জিমনেসিয়াম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ডে-কেয়ার সেন্টার, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ড. আবু ইউসুফ ভবন ও জয় বাংলা ভাস্কর্যের নামের পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের সহ-সমন্বয়ক রশীদ দিনার ঢাকা মেইলকে বলেন, ফ্যাসিবাদের পরিচয় বহন করে এমন কোন নাম আমরা চবিতে দেখতে চাই না। ইতোপূর্বে আমরা চবির তিন হলসহ ফ্যাসিবাদের পরিচয় বহন করে যেমন, শেখ কামাল জিমনেসিয়াম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ডে-কেয়ার সেন্টার, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ড. আবু ইউসুফ ভবন ও জয় বাংলা ভাস্কর্যের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছি প্রশাসনকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, স্বৈরাচারী শাসনামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ অবকাঠামোর নাম নিদিষ্ট একটি পরিবারের নামে নামকরণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, শেখ কামাল জিমনেসিয়ামের নাম পরিবর্তন চাচ্ছি।
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামীকাল এই বিষয়ে একটি মিটিং আছে। মিটিংয়ের পর আমি বিস্তারিত বলতে পারবো।
চবি ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, যেসব নাম নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আছে, সেসব নাম পরিবর্তন হবে। যেমন জননেত্রী শেখ হাসিনা হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল।