জুন মাসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে পারে। তবে কত তারিখে সম্মেলন করা হবে তা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি যোগ দেন। পরে বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরের ১৫টি সাংগঠনিক টিমের দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বৈঠক করেন। এরপর সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, রমজানের ঈদের পরে মহানগরের যেসব ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানায় সম্মেলন হয়নি সেগুলো সম্পন্ন করা হবে। ঈদের পরই এসবের সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ১৫টি সাংগঠনিক টিম গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৫টি সাংগঠনিক টিমের ১৫ জন সমন্বয়কও ঠিক করা হয়েছে। বিকেলে তাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, চট্টগ্রামে ১৫টি থানা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রম তদারকি করার জন্য ১৫টি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়েছে। সাংগঠনিক প্রধানদের নামও অনুমোদন করা হয়েছে। সাংগঠনিক টিমের প্রধানদের সঙ্গেও বিকালে বিস্তারিত মিটিং করা হয়েছে। সেই মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বাবুল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বুধবার মিটিং করে সাংগঠনিক টিমকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবেন।
তিনি বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনিবার্হী কমিটির ৬২ জন সদস্য আছেন। চারজন করে তাদেরকে ১৫টি সাংগঠনিক টিমে ভাগ করে দেওয়া হবে। তবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর বাহিরে থাকবেন।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, যে সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়েছে, তারা সংশ্লিষ্ট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে সঙ্গে নিয়ে কাজ করবেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগে কিছু ইউনিট সম্মেলন সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সে সমস্ত ইউনিট সম্মেলন সম্পর্কে আমাদের কাছে কিছু অভিযোগ দাখিল হয়েছিল। সে অভিযোগগুলো সাংগঠনিক টিম বসে পর্যালোচনা করবে যে কমিটিতে কোন অনিয়ম হয়েছে কি না, সেখানে কোন ব্যত্যয় হয়েছে কি না এসব তারা দেখবে। দেখার পরে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন। যদি তারা সমাধান করতে না পারেন তাহলে সুপারিশ মালা প্রণয়ন করে মহানগর আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে প্রেরণ করবেন। আমরা এগুলো নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করব। সাংগঠনিক কমিটিকে এসব কাজ করার জন্য এক মাস সময় বেঁধে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সাংগঠনিক কমিটিগুলো সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম তদারকি করবেন। সদস্য ফরম ঢাকা থেকে এনে বিতরণ করবেন। এগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা সাংগঠনিক কমিটি তদারকি করবেন। সমাজের ভালো মানুষদের আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত করতে চাই। নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগে সম্পৃক্ত করতে চাই যাদের বিরুদ্ধে সমাজে কোন নেতিবাচক কথা নেই, খারাপ কোন রেকর্ড নেই তাদেরকে দলে নিতে চাই। আওয়ামী লীগে যেন কোন আবর্জনা প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে তারা খেয়াল রাখবেন৷
সকালে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভা থিয়েটার ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ চৌধুরী স্বপন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস ছবুর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ মহানগর আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।