পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে চট্টগ্রামে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, পুত্র শারুন ও হুইপের ভাই নবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিছিল সমাবেশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনতা। বুধবার বিকেলে এই মিছিল সমাবেশ শুরুর আগে তারা পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদানসহ নানা অভিযোগে বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদ এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি বিকেল তিনটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ চৌধুরীর পুত্র জসিম উদ্দিন চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন। তখন পুলিশ তাদের বাধা দেয়। অন্যদিকে হইপের লোকজনও একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ ডাকে। ফলে পুলিশ কোনো পক্ষকেই সেখানে দাঁড়াতে দেয়নি।
এদিকে পৌনে ৩টা নাগাদ বিক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধা-জনতা প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশি বাধায় জড়ো হতে না পেরে নিকটস্থ চেরাগী পাহাড় থেকে ডিসি হিল পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন এবং ডিসি হিল থেকে একটি মিছিল সহকারে শত শত মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা প্রেসক্লাব অভিমুখে রওনা দেন। তারা চেরাগী পাহাড়ের সামনে এসে পুলিশি বাধায় পড়েন। সেখান থেকে তারা আবার ডিসি হিলে ফিরে যান। সেখানে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। মিছিল থেকে হুইপের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর কাছে ‘জাতীয় পতাকা নিরাপদ নয়’ বলে শ্লোগান উচ্চারিত হয় এবং হুইপ পুত্র শারুন চৌধুরী ও হুইপের ভাই নবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বিচার চেয়ে মুহুর্মুহু স্লোগান দেওয়া হয়।
এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতার আরেকটি অংশ মিছিলসহকারে চট্টগ্রাম ওয়াসার সম্মুখে জড়ো হন এবং নিকটস্থ মরহুম জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরী বাসভবনের সামনে পল্টন রোডে তারা পথসভা করেন। বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। মিছিল ও এইসব সভা সভা-সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মান সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবু তৈয়ব ও মহাসচিব মরহুম জননেতা জহুর আহম্মদ চৌধুরীরপুত্র জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আজীজ এর সন্তান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর সদস্য সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, সাবেক ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নওশাদ মাহমুদ চৌধুরী রানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, ব্যারিস্টার শওগত আনোয়ার খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ এর মহাসচিব উত্তম কুমার বড়ুয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আলম, অর্থ সম্পাদক সওকত মাসুম, দপ্তর সম্পাদক মো. মনজু, মো. নাসির খান, উজ্জ্বল চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সভাপতি নওশাদ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর সহ সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে চৈতী বসু, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তি যোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ -সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা (বীর উওম খেতাব) প্রাপ্ত এর সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম রসুল নিশান ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন দুলাল, ৬ দফা আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক-হানাদার বাহিনী কর্তৃক ৬ টুকরো করা সাবেক চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দানেশ চন্দ্র দেব নাথ এর ছোট ভাই বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরেশ চন্দ্র দেবনাথ , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার প্রদান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়সাল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ চট্টগ্রাম মহানগর ও থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে মো. ওসমান গনি, গাজী শোহেন, বাবলু মিয়া, মো. আবাস, আমিনুল, মো. গোলাম নবী, মো. ওসমান গনি, মো. হাবিবুর রহমান, পিমলু, নাঈম উদদীন,আবু তাহের রিপন, জয়নাল আবেদীন, মো. বাহার প্রমুখ।