ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবারের মধ্যে আছড়ে পড়বে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি ভারত ও পাকিস্তানের উপকূলে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আছড়ে পড়তে পারে গুজরাটের পশ্চিম অংশে ও পাকিস্তানের দক্ষিণ অংশে।
ভারতের আবহাওয়ার দফতরের সতর্কতা অনুসারে, ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১২৫-১৩৫ কিলোমিটার। গতি বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ধেয়ে আসতে পারে সেটি। বৃহস্পতিবার গুজরাটের মান্দবি ও পাকিস্তানের রাজধানী করাচির মাঝামাঝি ঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে।
খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যেই মুম্বাই উপকূলে ঝড় আগাম তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হতে পারে ভারতে সেটা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ে’র প্রভাবে মুম্বাইয়ে ফুঁসছে সমুদ্র। গুজরাটে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত প্রশাসন। সোমবারই একটি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন তিনি।
গুজরাট, মুম্বাইসহ ভারত ও পাকিস্তানের উপকূল এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপদসঙ্কুল এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাকিস্তান সরকার সিন্ধ ও বালুচিস্তান প্রশাসনকে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি করতে বলেছে। করাচির সিভিউ রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’ মোকাবেলায় উপকূলীয় এলাকা থেকে ৮০ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের প্রশাসন।