রাজশাহীর তানোরে ঘুষকাণ্ডে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। তারা দুইজন উপজেলার মুণ্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।তাদের প্রত্যাহার করে শনিবার (৯ এপ্রিল) জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাতে রাজশাহী পুলিশ সুপার তাদের ক্লোজড করার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ইনচার্জ মাসুদ রানা।
এরা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাহাজুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এজন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)। এর আগে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামে হামদুল নামে এক ব্যক্তি সরকারি খাস জমির ওপরে ব্যক্তি মালিকানাধীন সাবমার্সেবল পাম্প বসানোর চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীরা তাতে বাধা দেয় এবং মুণ্ডুমালা পৌর মেয়র এর কাছে একই জায়গায় বড় পাম্প বসানোর দাবি করেন। এতে করে পুরো গ্রামবাসীর খাওয়ার পানির ব্যবস্থা হবে। মেয়র সাইদুর রহমান গ্রামবাসীর পক্ষে মত দিয়ে পাম্প বসানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
এর মধ্যে শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে হঠাৎ মুণ্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত এসআই নজরুল ইসলাম ও এএসআই সাহাজুল ইসলাম ব্যক্তি মালিকানাধীন হামদুলের পক্ষ নিয়ে তার কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সরকারি ওই জায়গায় পাম্প বসিয়ে দেন। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দুই পুলিশ কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মিছিল করতে গ্রামের মানুষ মুণ্ডুমালা বাজারে জড়ো হয়। বিষয়টি টের পেয়ে পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান জেলা পুলিশ সুপারকে মোবাইলে বিষয়টি অবহিত করেন।
এর পর পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী সিনিয়র পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে পাঠান। একই সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া। তারা প্রাথমিক তদন্ত করে দুই পুলিশ কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার সত্যতা পান। জানতে চাইলে রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এজন্য তাদের জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।