ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে ইরি-বোরোর বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এমন ঘটনা প্রতি বছরই ঘটে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পেতে কৃষকেরা এখন পলিথিনে ঢেকে দিয়ে বীজতলা তৈরি করছেন। কম সময়ে স্বাস্থ্যবান ও ভালো বীজ পাওয়ায় এরই মধ্যে এই পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আসন্ন ইরি-বেঁড়ে মৌসুমে ধান আবাদের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ব্যস্ত মানিকগঞ্জের ঘিওরের কৃষকেরা। এখন তারা বীজতলা পরিচর্যা ও বোরোর চারা আবাদের জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাদামাটিতে বীজতলা তৈরির পাশাপাশি পলিথিন পদ্ধতির বীজতলা তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়ছেন এলাকার কৃষকেরা। ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই পদ্ধতি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বলেন, ‘তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ কারণে আমরা কৃষকদের পলিথিনে ঢাকা দিয়ে বীজতলা তৈরি করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। এভাবে বীজতলা তৈরি করে লাভবান হচ্ছেন তারা। কাদামাটির চেয়ে এই বীজতলার চারায় ধানের ফলনও অনেক ভালো।’ তিনি আরো বলেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলায় এ পর্যন্ত কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। আশা করছি এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এ উপজেলায় বেশি জমিতে ইরি-বেঁড়ে আবাদ হবে।’