বৃহস্পতিবার ফেরিঘাটের কাছাকাছি খায়েরপট্টি এলাকায় যানজটে আটকা পড়ে যশোরের গবাদিপশুর ব্যবসায়ী নুরুল আলমের ৪টি গরুসহ একটি ট্রাক। শুক্রবার বিকেলে ফেরিঘাটের ট্রাক টার্মিনাল সড়কের মুখে ট্রাকটি এলে তাঁর দুটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তিনি একটি গরু জবাই করেন। নুরুল আলম বলেন, পশুবোঝাই ট্রাকসহ তাঁকে আটকা থাকতে হয়েছে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। খোলা সড়কে তীব্র গরমে ৩টি গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ১টি গরু মারাও গেছে। ১টির অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক গরুটি জবাই করে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্রেতা ধরতে ২৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করেন।
আলুর বাজারের বাসিন্দা মো. মহসিন সরকার বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। নদীতে মাছ শিকার করে জীবন চালাই। বাজারে গরুর মাংসের দাম অনেক। বাড়িতে নিতে পারি না। সস্তায় পেয়ে আজ এক কেজি কিনেছি। শুনেছি অসুস্থ গরু জবাই করেছে। সস্তা তো, তাই আর অত কিছু খোঁজ নিইনি।’
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আলুর বাজার ফেরিঘাটের ইজারাদার মো. জিতু মিয়া ব্যাপারী বলেন, কোরবানির জন্য বিক্রি করতে আনা গরু অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে ঘাটে ছুটে যান তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে ঘাট এলাকায় অসুস্থ গরুর বিশ্রামের জন্য গাছের ছায়ায় খোলা জায়গার ব্যবস্থা করে দেন। ব্যবসায়ীদের কয়েকটি গরু মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। লোকসান এড়াতে কয়েকটি অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রি করে দিয়েছেন ব্যাপারীরা এমন খবর শুনেছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আলুর বাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন বলেন, কোরবানি সামনে রেখে ঘাটে প্রতিদিন গড়ে ২৫০টি পশুবোঝাই ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে একসঙ্গে অনেক ট্রাক আসায় পারাপারে সময় লাগছে। বেশ কিছু গরু অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়েছেন। তবে ঘাটে কোনো গরু জবাই বা বিক্রি করা হয়েছে কি না, সেই তথ্য তাঁদের কাছে নেই বলে তিনি জানান।