চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফেবারিটের তালিকাতেই ছিল আফগানিস্তান। কেন রশিদ-নবিদের নিয়ে এত আলোচনা ও প্রতিপক্ষের সমীহ সেটি বাইশগজের পারফরম্যান্সে দেখাচ্ছেন তারা। বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক জয়ে গ্রুপপর্বে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। এর মধ্য দিয়ে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে এখনও জয়ের দেখা না পাওয়া নিউজিল্যান্ডের।
উগান্ডা ও নিউজিল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারানোর পর নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় ভোরে পাপুয়া নিউগিনির মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রশিদ খানরা। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ৯৫ রানের বেশি করতে পারেনি আসাদ ভালারা। সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে আফগানরা।
এর আগে গ্রুপ সি থেকে সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার দ্বিতীয় ও গ্রুপের শেষ দল হিসেবে শেষ আটে রশিদ খানরা। অবশ্য দুই দলই তিনটি করে জয় পেলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে আফগানিস্তান।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগান পেসারদের তোপের মুখে দাঁড়াতে পারেনি পাপুয়া নিউগিনির কোনো ব্যাটারই। পুরো ইনিংসে দুই অঙ্কের দেখা পেয়েছেন মাত্র তিন ব্যাটার। চার রান আউটের ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেটের দেখা পায় আফগানরা। রানআউটে কাটা পড়েন ২ বলে ৩ রান করা পাপুয়া নিউগিনির অধিনায়ক আসাদ ভালা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান ফারুকি। রানের খাতা খোলার আগেই পরপর দুই বলে ফারুকির শিকার হন লেগা সিয়াকা ও সেসে বাউ। এরপর মাত্র এক রানে ফিরে যান হিরি হিরিও। ফলে মাত্র ১৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে পিএনজি। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে আর বেশিদূর এগোতে পারেনি দলটি। দরিগার ইনিংস সর্বোচ্চ ৩২ বলে ২৭ রানে একশর কাছাকাছি যায় পাপুয়া নিউগিনির সংগ্রহ। দলীয় ৯৫ রানে অলআউট হয় তারা।
পাপুয়া নিউগিনির ইনিংসে রানআউট হয়েছেন চার ব্যাটার। বিশ্বকাপে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রানআউটের ঘটনা এটি। আফগানদের হয়ে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করেন পেসার ফজল হক ফারুকি। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে ১২ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এই পেসার।
হাতের নাগালে থাকা লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ইব্রাহিম জাদরান সাজঘরে ফেরেন। ঝড়ের ইঙ্গিত দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও।
এরপর নিশ্চিত জীবন পেয়ে আফগানদের এগিয়ে নেন গুলবাদিন নাইব। মোহাম্মদ নবিকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন সাবেক এই অধিনায়ক। ২৩ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন নবী। ৩৬ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় অপরাজিত ৪৯ রান করেন গুলবাদিন নাইব।