বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গ্রিসে বাংলাদেশিদের প্রবাসী সংগঠন ‘বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ’। সম্প্রতি গ্রিস থেকে ১৯ বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর প্রতিবাদ ও নতুন করে পাঠানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হলেও প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পাকিস্তান কমিউনিটি, কেরপাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
২০১৬ সালের পরে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা এটাই প্রথম। বর্তমানে গ্রিসে বসবাস করেন প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। তবে সে দেশের সরকারের হিসেব অনুযায়ী বৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। বাকিদের বসবাসের অনুমতি নেই বা আশ্রয় আবেদন বাতিল করেছে। গ্রিক অভিবাসন মন্ত্রী নোটিশ মিতারাকিস বলেন, ‘গ্রিস সরকার কঠোরভাবে ন্যায্য অভিবাসন নীতি প্রয়োগ করছে। আন্তর্জাতিক সুরক্ষার অধিকারী নয় এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল করা হচ্ছে। পাঁচ বছর পর এমন অভিযান চালানো হচ্ছে।’
এর আগে, বুধবার বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ সমঝোতা হওয়ায় প্রতিবছর চার হাজার বাংলাদেশি কর্মীকে কাজ করার সুযোগ দেবে গ্রিস। এ চুক্তির ফলে গ্রিসে বছরে নয় মাস পর্যন্ত রেসিডেন্স পারমিট বা থাকার অনুমিত মিলবে। ভিসাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা স্থায়ীভাবে বসবাস বা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবেন না। এমনকি ইউরোপের মৌসুমি শ্রমিক আইন অনুযায়ী, তারা পরিবারের সদস্যদের আনারও অনুমতি পাবেন না। এই উদ্যোগকে সাধুবাধ জানিয়ে গ্রিসে বসবাসরত প্রবাসীরা অনিয়মিতদের ডিপোর্ট বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তারা আগে অবৈধদের বৈধ করে পরে নতুন করে কর্মী আনার কার্যক্রম শুরু করার দাবি জানান।