‘মেক গ্রিনল্যান্ড গ্রেট এগেইন’ নামের বিলটিতে এখন পর্যন্ত প্রতিনিধি পরিষদের ১০ জন সদস্য সমর্থন জানিয়েছেন। এটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি ওগলেস এবং কংগ্রেসওম্যান ডিয়ানা হার্সবার্গার।
২০১৬ সালে ট্রাম্প প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হন। তিনি সেবারও (২০১৯ সালে) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন কীভাবে গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করা যায়
ট্রাম্প এবার সরাসরি হুমকি দিয়েছেন গ্রিনল্যান্ডকে নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য ডেনমার্কের ওপর সামরিক এবং অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে দ্বিধা করবেন না। তবে প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে দ্বীপটি কেনার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প বলেন, “গ্রিনল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় এবং জাতীয় ইস্যুতে আমরা যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত।”
বিলটির খসড়া অনুযায়ী, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকেই গ্রিনল্যান্ড কেনার ক্ষমতা পাবেন ট্রাম্প এবং ওইদিন থেকে ডেনমার্কের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারবেন। তবে আগে এটি প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেট উভয় যায়গায় পাস হতে হবে।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি কলোনি। আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত দ্বীপ রাষ্ট্রটি ডেনমার্কের ওপর— বৈদেশিক নীতি বিষয় থেকে শুরু করে নিরাপত্তাসহ সবকিছুর ওপর নির্ভরশীল। গত কয়েক শতক ধরে এটি ডেনমার্কের অধীনেই রয়েছে। যদিও দ্বীপটিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের খেতাব দেওয়ার দাবি উঠেছে অসংখ্যবার।
গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের সংবিধানের অংশ। যদি তারা দ্বীপটিকে স্বাধীনতা দিত তাহলে তাদের সংবিধান সংশোধন করতে হতো। ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কেনার হুমকি দেওয়ার পর ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মুতে এগেদে বলেছেন, এটি বিক্রিযাগ্য নয়। তিনি দ্বীপটিকে স্বাধীনতা দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। এছাড়া এই দ্বীপের ভবিষ্যত সেখানকার বাসিন্দারাই নির্ধারণ করবে বলে জানান তিনি।