গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বেড়ে দাঁড়াবে ৮ টাকা ২৩ পয়সা। যেখানে বর্তমান সময়ে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত রয়েছে ৭ টাকা ২ পয়সা। এই হিসেবে বিদ্যুতের দাম ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বিদ্যুতের দামবৃদ্ধির গণশুনানিতে বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠান বাবিউবো, বাপবিউবো, ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো ও নেসকোর আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
এর আগে একই দিন রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটোরিয়ামে সকাল ১০টা থেকে এই শুনানি শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫ট পর্যন্ত। তবে আজ শেষ না হলে আগামীকাল সোমবারও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সুপারিশে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বাবিউবো) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের বর্তমান দর ৭ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৮ টাকা ৭৪ পয়সা, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) ৬ টাকা ২০ পয়সার বদলে ৭ টাকা ৬৩ পয়সা, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) ৮ টাকা ৪৮ পয়সার বদলে ৯ টাকা ৪৩ পয়সা, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) ৮ টাকা ৫৫ পয়সার বদলে ৯ টাকা ৪১ পয়সা, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ৭ টাকা ৫২ পয়সার বদলে ৮ টাকা ৫৪ পয়সা এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) ৭ টাকা ২৪ পয়সার বদলে ৮ টাকা ১৬ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ নিয়ে শুনানির প্রারম্ভিক বক্তব্যে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, আমরা একটি খারাপ সময় অতিক্রম করছি। করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। আমাদের কিছুটা রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতে হচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দূরদর্শিতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কমিশন এ বিষয়ে সবসময় আন্তরিকতা সঙ্গে সচেষ্ট থেকেছে। তবে আমাদের ব্যর্থতা নেই এটা দাবি করব না।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পায়। গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে পাঁচ প্রতিষ্ঠান।
রোববারের শুনানিতে অন্যদের মধ্যে বিইআরসির সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহী চৌধুরী, বজলুর রহমান ও কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।