গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য না বাড়াতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। পোশাকখাত সংশ্লিষ্ট এ সংগঠনটির মতে, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি শিল্প, অর্থনীতি এবং সমগ্র জনগণের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বুধবার (২৫ মে) বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
বিজিএমইএর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে পোশাকশিল্প পুনরুদ্ধারের পথে ফিরে এসেছে। এরপরও শিল্পটি বর্তমানে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। পোশাকশিল্প ইতোমধ্যে কাঁচামাল সংকট, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, কনটেইনার ও জাহাজ ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রভৃতি চাপের মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হলে তা পোশাকশিল্পের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলবে। কারণ, এতে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হ্রাস পাবে।
চিঠিতে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পোশাকশিল্পের পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত করবে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার বাংলাদেশি পোশাকের প্রধান রপ্তানি বাজার ইউরোপের বেশ কিছু দেশে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকাও বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি এবং ফলশ্রুতিতে প্রকৃত আয় কমে যাওয়া পোশাকের বাজার চাহিদার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
গ্যাস এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি শুধু যে পোশাকশিল্পের ওপরই প্রভাব রাখবে, তা নয়। বরং এটি জনগণের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। কারণ, এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ও পরিষেবাগুলোর মূল্য বেড়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য না বাড়াতে সরকারকে অনুরোধ জানান বিজিএমইএ সভাপতি।