রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ১৯ বছর বয়সী এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- গোয়ালন্দ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আড়ৎপট্টি এলাকার মো. সজল ব্যাপারী ওরফে শরিফ (২৮), ঘোষপট্টি এলাকার মিঠু (৩৮) ও উজানচর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের আলামিন শেখ (২৮)।
ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা ও মামলার বাদী জানান, তিনি একজন দিনমজুর। প্রতিদিনের মতো গত শনিবার (২০ আগস্ট) কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার মেয়ে ঘরে নেই। তখন তিনি ও তার ভাই মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে রেললাইন ব্রিজের কাছে যান। সেখানে রেললাইনের পশ্চিম পাশে রাখা পাটকাঠির স্তূপের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। এসময় তিনি এগিয়ে গিয়ে তার মেয়েকে নগ্ন অবস্থায় দেখতে পান এবং দুইজনকে ঘটনাস্থলে ধরে ফেলেন। তখন ধৃত শরিফ ব্যাপারী ও মিঠু তার কাছে ক্ষমা চান। এসময় ওই তরুণীর বাবা লোকলজ্জার ভয়ে তাদের ছেড়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন।
পরদিন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই তরুণীর বাবা মেয়েকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদীর কাছে বিস্তারিত শুনে তার মেয়েকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। বাদী টাকার অভাবে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে যেতে পারেননি। পরে বাদীর আত্মীয়-স্বজনের পরামর্শে গত মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ঘটনার বিষয়ে জানান। তিনি বিস্তারিত শুনে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসিকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং দুইজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা গ্রহণ করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুনির হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধী ওই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলার পর ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।