নাটোরে গুরুদাসপুর চাপিলা ইউনিয়নের চক দিঘলীতে আশ্রয়ণের ঘর থেকে বের করে দেওয়ায় অভিযোগে চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ২০ পরিবার মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার (৩০ জুন) চেয়ারম্যানকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ২০ পরিবার।
মামলার বিষয়টি গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে নাটোরে গুরুদাসপুর চাপিলা ইউনিয়নের চক দিঘলীতে হতদরিদ্র ১০০টি পরিবারের বসবাসের জন্য সরকার আশ্রয়ণ ব্যারাক নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন হওয়াতে এসব ব্যারাকে বসবাস করায় অযোগ্য হয়ে পড়ে। জীবিকার তাগিদে অনেকে ঢাকায় গার্মেন্টসে, অনেক বৃদ্ধরা মেয়ের বাড়ি গিয়ে কিছুদিন করে থাকতেন। ফিরে এসে ওই ঘরেই থাকতেন তারা। সম্প্রতি সেগুলো ভেঙে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আধাপাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। সেই সুযোগ অন্যদের দিয়ে ঘরগুলো জোর করে দখল করানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী আব্দুর রহমান, রোজিনা বেগম, মফিজ উদ্দিন, সাইদুর, তহিদুল, আরতি, ইব্রাহীম, খোরশেদ, মন্টু, মজিদ, কেরামত বলেন, ব্যারাক নির্মাণের সময় ওই ঘরগুলো সরকার তাদের নামে বরাদ্দ দেন। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জোর করে তাদের নামিয়ে দিয়ে অন্যদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঘরে তুলে দেন। তাদের ঘর ফিরে পেতেই তারা আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, যারা মামলা করেছে তাদের আমি চিনি না, তাদের কখনো দেখিও নাই। তারা আশ্রায়ণে ছিল তা কখনো দেখিনি। সরকারি বিধি মোতাবেক যা আছে তাই হবে। আমি কাউকে ঘর ভাঙার লোভ দেখাইনি। এটা সরকারি নিদের্শনা অনুসারে পুরাতন যার যার ঘর সে সে ভেঙে নিবে। সরকার নতুন ভাবে সেখানে ঘর নিমার্ণ করে দেবেন।
ওসি মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলা তদন্ত করছে পিবিআই।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন, এ বিষয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।