গত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন সময় গুমের শিকার দলীয় নেতাকর্মীদের পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন বিএনপি নেতারা। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে সূত্রাপুর ও বংশাল এলাকায় গুম হয়ে যাওয়া বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, মানুষকে খুন করলেও তার লাশ দেখে অনন্ত কিছুটা স্বস্তি পান স্বজনরা, কেঁদে মন হালকা করতে পারে। কিন্তু গুম এমন একটি জিনিস তার লাশটাও পাওয়া যায় না। এটা যে কী নিদারুণ কষ্ট তা ভুক্তভোগীর পরিবার ছাড়া কেউ উপলব্ধি করতে পারে না। এর চেয়ে ঘৃণিত ও জঘন্যতম অপরাধ এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই।
মঈন খান আরও বলেন, আজকে আমরা গুম হওয়া পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কিছু অনুদান পৌঁছে দিয়েছি।
বর্তমান সরকারের আমলেই মানুষ গুম শব্দটি শুনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের মতো জনপ্রিয় নেতাদের গুম করার মাধ্যমে এ দেশে গুমের রাজনীতি শুরু করে সরকার। এ থেকে গণতন্ত্রকামী জনগণকে রক্ষা করতে হলে অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন। আজ সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এ স্বৈরাচারকে বিদায় করতে। এদের বিতাড়িত করে জনগণকে গুম-খুনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, শ্রমিক দল দক্ষিণের আহবায়ক সুমন ভূইয়া প্রমুখ।