গুমের শিকার ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়াসহ গুম বন্ধের দাবিতে বরিশালে মানববন্ধন করেছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ‘মায়ের ডাক’ ও ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস নেটওয়ার্ক’ এর যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।
মায়ের ডাকের সদস্য ও নিখোঁজ ফিরোজের মামা এসকান্দার সিকদারের সভাপতিত্ব বক্তৃতা দেন নিখোঁজ ফিরোজ খান কালু ও মিরাজ খানের মা ফিরোজা বেগম, বোন মুক্তা বেগম, নিখোঁজ ফিরোজের স্ত্রী আমেনা আক্তার বৃষ্টি, মায়ের ডাকের সদস্য মুক্তা বেগম, নারগিস আক্তার পারভিন প্রমুখ।
নিখোঁজ ফিরোজ ও মিরাজের মা ফিরোজা বেগম বলেন, ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে আমার বড় ছেলে ফিরোজকে চট্টগ্রাম থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের আগস্ট মাসে ছোট ছেলে মিরাজকেও ঢাকা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তুলে নিয়ে গেছে। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ নেই। দীর্ঘ ১১ বছর দুই সন্তানের অপেক্ষায় রয়েছি। সন্তানদের জন্য মায়ের এই অপেক্ষা কতটা কষ্টদায়ক তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝবে না। তাই অবিলম্বে আমার ছেলেদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর কালিবাড়ি রোডের সরকারি বরিশাল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে রাফসান আহমেদ জিতুকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। জিতু তৎকালীন মহানগর ছাত্রদলের একাংশের যুগ্ম আহবায়ক ও সরকারি বরিশাল কলেজ শাখার সভাপতি ছিলেন। ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে ওই খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিল ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান কালু। তার ভাই মিরাজও জিতু হত্যা মামলার আসামি ছিল। আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের পর এই নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এরপরই অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাদের তুলে নিয়ে গেছে বলে স্বজনরা দাবি করে আসছেন।