সোমবার (২৬ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানান তিনি। পোস্টের নীচে গুম সপ্তাহের একটি ফটোকার্ডও শেয়ার করেছেন।
তরুণ এই ছাত্র উপদেষ্টা আরও লিখেছেন, ‘চুপ করে থাকলে ইতিহাসও ক্ষমা করবে না। গুমের বিরুদ্ধে কথা বলুন।’
ফটো কার্ডে আওয়ামী শাসনামলের একটি বর্বর দুঃশাসনের নমুনা তুলে ধরে আসিফ উল্লেখ করেছেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৬৬৬ জন গুম হয়েছেন। সংখ্যাটি আরও অনেক বড় বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও মে মাসের শেষ সপ্তাহে গুম সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। প্রতি বছরই এটি আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয়।
গুম সপ্তাহ প্রথম শুরু হয় ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠন ঋঊউঊঋঅগ-এর উদ্যোগে। ওই সময় সেখানকার স্বৈরশাসকরা বিরোধীদের গুম করতো। এরপর থেকে এ সপ্তাহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পায়।
এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, বিশেষ করে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন দেশের গুমবিরোধী সংগঠনগুলো এই সপ্তাহ পালন করছে।
আন্তর্জাতিক গুম সপ্তাহ হল একটি সচেতনতামূলক সপ্তাহ। এর লক্ষ্য বিনা বিচারে গুম, জবরদস্তি গুম এবং এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ ও সচেতনতা সৃষ্টি।
এছাড়া গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণ করা এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর প্রতি সংহতি জানানোও এর উদ্দেশ্য। সরকার বা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গুমের বিরুদ্ধে বিচার ও জবাবদিহি দাবি করা এবং মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো।
বাংলাদেশে গুম একটি উদ্বেগজনক ইস্যু। বিশেষ করে আওয়ামী শাসনামলে ২০১০ সাল থেকে গুমের ঘটনা বৃদ্ধি পায় বলে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তথ্য প্রমাণে উঠে আসে।