গুমের তদন্তসহ মানবাধিকার সংক্রান্ত সব বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।
বুধবার (৫ মার্চ) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিক্ষোভের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ওপর জাতিসংঘের মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন তিনি।
প্রতিবেদনে ভলকার তুর্ক বলেন, আমরা খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আমাদের উপস্থিতি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছি, যার মূল লক্ষ্য সহায়তা প্রদান–গুমসহ অন্যান্য তদন্তে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, এটা একেবারেই সত্য যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনের কাজে অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করেছে। আমরা এখন প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। অতীতের ঘটনাগুলো সামনে আনার, সেগুলো মোকাবিলা করার এবং সত্য প্রকাশ করে জাতির নিরাময়ের একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্যই এটি একটি সুযোগ।
ভলকার তুর্ক বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রচেষ্টাগুলোকেও সবার সমর্থন করা উচিত। কারণ মানবাধিকারকে দেশের ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে করা হচ্ছে এসব সংস্কার। এটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য এক অনন্য সুযোগ।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস প্রথম ফোনালাপেই আমাকে বলেছিলেন, মানবাধিকার তার প্রশাসনের সংস্কার ও পরিবর্তনের কেন্দ্রে থাকবে। তবে, এটি অবশ্যই একটি কঠিন কাজ।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু আমি মনে করি, যদি সঠিক মানসিকতা থাকে, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের এবং সবাই এই দিকে এগুতে চায়, তাহলে (বাংলাদেশের) এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও একটি নতুন আশার গল্প পাবে বিশ্ব। আমাদের এই সুযোগকে গ্রহণ করতে হবে, একে সমর্থন দিতে হবে এবং দেশটির পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে হবে।