নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি গুচ্ছে, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি গুচ্ছে অন্তর্ভুক্ত হবে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) ইউজিসি ভবনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে এক আলোচনা সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছের ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান অংশ গ্রহণ করেন। প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের এ সভায় ডাকা হয়নি।
সভায় প্রফেসর আলমগীর বলেন, ইউজিসি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশিষ্ট্য ক্ষুণ্ন হবে না বলেও জানান তিনি।
প্রফেসর আলমগীর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সময় নির্ধারণ, আর্থিক স্বচ্ছতা নিরূপণে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন।
এছাড়া, ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটির (এনটিএ) অধীনে সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরিতে শিগগিরই একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায় উপাচার্যরা বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কোনো বাধা নেই। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর অভিপ্রায় রয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা একটি প্রমাণিত সফল পদ্ধতি। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে এখান থেকে বের হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় কোনো সংকট দেখা দিলে সকলে মিলে সমাধান করতে হবে বলে জানান তারা।
গুচ্ছের বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছভুক্ত করার জন্য ইউজিসিকে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান উপাচার্যরা।